স্টাফ রিপোর্টার,ইবিথানা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ না করায় হলের ডাইনিংয়ে খাবার বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার(১৬ এপ্রিল) খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন খবার বন্ধ করার ঘোষণা দেন। ফলে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বুধবার এবারের বৈশাখের স্বপ্ন-শপথ, আগামীর বৈষম্যের বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলের ন্যায় খালেদা জিয়া হল প্রভোস্টের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হল প্রভোস্ট ডাইনিংয়ের খাবার বন্ধ করে দেন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের ডাইনিংয়ে খাবার রান্না হওয়ার মাঝ পর্যায়ে প্রভোস্ট স্যার খাবার বন্ধ করে দেন। এর আগে নোটিশে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণও বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন নি। ফলে যার যার মতো ক্লাস পরীক্ষা থাকায় সবাই ক্যাম্পাসে চলে যায়। পরে দুপুরের পর এসে জানতে পারি হলে খাবারের আয়োজন করা হয় নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার তানিয়া বলেন, প্রভোস্ট আমাদের বলেছেন বৈশাখী অনুষ্ঠানের দিন দুপুরে হলে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা লিস্ট দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমাদের টোকেন দিয়েছে। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ক্লাস পরীক্ষা ছিলো তাই আমরা উপস্থিত হতে পারিনি। একারণে স্যার রাগ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের দুপুরে খেতে দেওয়া হবে না। আপাতত ডাইনিং বন্ধ থাকবে এবং রাত নয়টার সময় সেন্ট্রাল মিটিং করা হবে। আমি হলের সিনিয়র আপুর কাছে খাবারের টোকেন নিতে গেলে তিনি আমাকে জানান যে, স্যার নিষেধ করছে আজ খাবার দেওয়া হবে না।শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রভোস্ট স্যার শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন। এজন্য অনতিবিলম্বে প্রভোস্ট স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট জালাল উদ্দীন বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বছরের ন্যায় হল থেকেও আমরা অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। একটা হলে ৪০০ মেয়ে আছে, সেখানে ২০/৩০ জন উপস্থিত হওয়ার কথা না? অথচ সেখানে ৬/৭ জন উপস্থিত হয়। আমাদের ব্যান্ড পার্টি ছিলো, এই সাতজন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় প্ল্যান ক্যান্সেল করি। আর অল্প সময়ের মধ্যে ডাইনিংয়ের খাবারের ব্যবস্থা করা খুব ডিফিকাল্ট ছিলো। তাই আমরা সাড়ে ১১ টার দিকে নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয় দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে না।শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবেন।