ইবিথানা রিপোর্টার:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে সি ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা)-এর ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে ১ হাজার ৩১০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আসনবিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১২৬০ শিক্ষার্থী; উপস্থিতির হার ছিল ৯৬.১৮%।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বয়ে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হককে নিয়ে মেইন গেটে যান। তিনি সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া, ছাত্র ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের হেল্প ডেস্ক পরিদর্শন করেন। এ সময় থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রফী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বেগম রোকসানা মিলি, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বাবলী সাবিনা আজহার, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান, তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাহেদ হাসান প্রমুখ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। এরপর ভাইস চ্যান্সেলর বিভিন্ন পরীক্ষা-কক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম।
পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ, র্যাবের টহল দল ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। ক্যাম্পাসে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রক্টরিয়াল বডির পাশাপাশি বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট গ্রুপ তৎপর ছিল। প্রশাসনের উদ্যোগে তথ্য ও স্বাস্থ্য কর্ণার থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। মেইন গেটের সামনে দুই পাশে স্থাপিত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর স্টলগুলো থেকেও বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।